HUMAN RIGHTS FORUM BANGLADESH (HRFB)
সংবাদ বিবৃতি
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ছয় জন নিহত, নারীসহ প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা, এমনকি হাসপাতালে ঢুকে আক্রমণের ঘটনা হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি) এর গভীর উদ্বেগ, হামলার সুষ্� ু তদন্ত ও দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি
[ঢাকা, ১৬ জুলাই ২০২৪] কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা, রংপুর, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে অন্তত ছয় জন নিহত, এবং প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আন্দোলন সমর্থনকারী নারী শিক্ষার্থীদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটে। হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি) গভীর উদ্বেগের সাথে প্রত্যক্ষ করছে যে, চলমান সংঘর্ষে হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে, এমনকি আহত শিক্ষার্থীদের ওপর হাসপাতালে ঢুকে আক্রমণ চালানোর মত বর্বরোচিত ঘটনাও ঘটেছে। ফোরাম, সাম্প্রতিক আন্দোলনে নানাধরনের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অসম্মানজনক মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে সহিংসতা পরিহারের আহবান জানাচ্ছে। পাশাপাশি, সুষ্� ু তদন্ত সাপেক্ষে এসকল হামলার জন্য দায়ী ব্যাক্তিদের বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছে।গত ১৪ জুলাই ২০২৪, রাতে, এক প্রতিবাদ কর্মসূচীতে ক্ষোভ প্রকাশ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এবং এ আন্দোলন চলমান রাখার ঘোষণা জানান। ১৫ জুলাই ২০২৪, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে, এবং পুরো ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ও� ে। এতে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয় যার মধ্যে নারী শিক্ষার্থীও রয়েছেন। গণমাধ্যম সূত্রে আরো জানা যায়, চলমান সহিংসতায় ১৬ জুলাই ২০২৪ পুলিশ এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী, চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে তিনজন, এবং ঢাকায় দুইজনসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন।
হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি), সাধারণ শিক্ষার্থী, বিশেষত নারী শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। ফোরাম মনে করে, শিক্ষার্থীদের ওপর এই ধরনের সহিংসতা সংবিধানে বর্ণিত জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করে। সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, দেশের সকল নাগরিকের জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার রক্ষা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। ফোরাম, এ আন্দোলনে অংশগ্রহণরত শিক্ষার্থীদের বিশেষত, নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং যারা ইতিমধ্যে সহিংসতার শিকার হয়েছেন তাদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছে এবং তাদের মৌলিক অধিকার যারা খর্ব করেছেন তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছে।